
রবিবার ১৫ জুন ২০২৫
বুড়োশিব দাশগুপ্ত
শুরুর সময়ে যতটা জনপ্রিয়তা ছিল, বিশ্বায়ন বিষয়টি নিয়ে ইদানিং ততটা আগ্রহ দুনিয়ার নেই। সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প 'MAGA (Make America Great Again)' প্রকল্প শুরু করে বিশ্বায়নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছেন বলা চলে। এই প্রকল্প বিশ্বায়নের নীতিবিরোধী একটি প্রকল্প বলা চলে। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণা একদিকে তাঁর মহান আমেরিকা গড়ার আদর্শের পথে একধাপ আগুয়ান হওয়া যেমন, তেমনই উল্টো দিকে বিশ্বায়নের দুনিয়ার উল্টো স্রোতে সাঁতার কাটাও।
এই খোলা বাজারের বাণিজ্যের ইতিহাস দীর্ঘ। অতীতে, ১৯৪৭ সালে ২৩টি দেশ মিলে জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড (জিএটিটি) স্বাক্ষর করেছিল। বিশ্ববাণিজ্যের পথ সুগম করতে ও বিভিন্ন শুল্ক ও লেভিতে ছাড় দিয়ে বিশ্ববাজারকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে এই সংগঠন কাজ করবে বলে কথা ছিল। এর প্রায় ৫০ বছর বাদে, ১৯৯৫ সালে তৈরি হয় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা। সবটাই খোলা বাজারের অর্থনীতির দিকে তাকিয়ে। কাজেকর্মে ট্রাম্প এতদিনে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রসংঘের কাজকর্ম বা পরামর্শের তোয়াক্কা করেন না। করোনাকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও বুড়ো আঙুল দেখিয়েছিলেন। এ বার, নতুন শুল্ক নীতি চাপিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকেও কার্যত পাশ কাটিয়ে দিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের বর্তমান শুল্ক নীতি অনুসারে, সমস্ত আমদানিকৃত দ্রব্যের উপরেই সাধারণ ১০ শতাংশ কর থাকবে। ছোট-বড় কোনও সংস্থার ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হবে না। তবে ট্রাম্প সরকার সবচেয়ে বেশি শুল্ক চাপিয়েছে চীনের উপর, ৫৪ শতাংশ। তারপর ক্রমান্বয়ে রয়েছে ভিয়েতনাম ৪৬ শতাংশ, ভারত ২৬ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশগুলির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ। তবে তালিকা থেকে বাদ রয়েছে কানাডা, মেক্সিকো, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, কিউবা ও বেলারুশ। প্রতিবেশী মেক্সিকো ও কানাডার থেকে আমাদানির উপর আগে থেকেই ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, কিউবা ও বেলারুশের সঙ্গে আমেরিকার বিশেষ কোনও বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই বললেই চলে।
সম্ভবত ট্রাম্পের ইতিহাস সম্পর্কে বিশেষ ধারণা নেই। বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থা, যার মধ্যে রয়েছে GATT এবং পরে WTO, এর সবচেয়ে বড় উপকারভোগী দেশ ছিল আমেরিকাই। ট্রাম্পের এই প্রতিশোধস্পৃহা থেকে উদ্ভুত শুল্ক আরোপের তাৎক্ষণিক কারণ ছিল ২০২৪ সালে আমেরিকার ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি। এই ঘাটতির জন্য ট্রাম্প দায়ী করেছেন বাণিজ্যরত দেশগুলোকেই। তারা “এই সুন্দর আমেরিকাকে লুঠ, ধর্ষণ ও ধ্বংস করছে” বলে তাদের শাস্তি দেওয়া দরকার, বলছেন ট্রাম্প। আর তাঁর হাত ধরে জাতীয়তাবাদ এখন তুঙ্গে।
এই মার্কিন সংরক্ষণবাদী নীতির প্রতিক্রিয়া এসেছে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। চীন সমস্ত আমেরিকান রপ্তানির ওপর ৩৪% শুল্ক আরোপ করেছে। জার্মানির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হুঁশিয়ারি দিয়েছে কড়া পদক্ষেপের। বিশ্বের শেয়ার বাজারগুলোয় ধস নেমেছে। আমেরিকার মধ্যেই মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প নির্লিপ্ত। তিনি বলেছেন, তিনি শেয়ার বাজারের ওঠানামায় বিশ্বাস করেন না। আর মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদী লাভের জন্য স্বল্পমেয়াদী কষ্ট’ সহ্য করার ক্ষমতা আছে দেশের।
ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, আমেরিকার ভিতরে উৎপাদন খাতে দেওয়া ছাড় কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে দেশে ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম দফায় সেটি হয়নি। উৎপাদন বাড়েনি, চাকরির সংখ্যাও নয়। প্রথম দফায় যখন ট্রাম্প স্টিলের উপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তখন স্টিল খাতে কর্মসংস্থান কিছুটা বাড়লেও, অন্যান্য ক্ষেত্রে শুল্কজনিত দামবৃদ্ধির ফলে কর্মসংস্থান অনেক বেশি কমে গিয়েছিল। সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল, যেমনটা এবার অনেক বড় পরিসরে হবে এই পারস্পরিক শুল্কের ফলে।
ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির ‘বিশেষ বন্ধুত্ব’ও ভারতকে এই শুল্ক থেকে রেহাই দিতে পারেনি। আশ্চর্যজনকভাবে ভারত এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বেশ চুপচাপ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা চীনের মতো প্রকাশ্যে মার্কিন সমালোচনায় নামেনি ভারত। বরং শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডের মতো ছোট দেশগুলোর সঙ্গে নতুন বাণিজ্যিক ক্ষেত্র খোঁজার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বিশাল বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের বিকল্প হতে পারে না। সাম্প্রতিককালে ভারত আমেরিকা থেকে আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি করছে, রাশিয়ার উপর নির্ভরতা কিছুটা কমিয়ে। আমেরিকার সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির অপেক্ষায় ছিল ভারত, যাতে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ করা যায়। কিন্তু একপক্ষের ছোট্ট ভুলও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আমেরিকার সঙ্গে এই সদ্য অর্জিত আস্থা ভারত হারাতে পারে না—যা ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে সবচেয়ে খারাপ ছিল, এবং পরে মনমোহন সিংয়ের পরমাণু চুক্তির সময় থেকে ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছিল।
কিন্তু ট্রাম্পের শাসনের আগামী চার বছর বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা বজায় রাখবে। তাঁর অনিশ্চিত নীতি গোটা বিশ্বে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। খুব সম্ভবত বিশ্ব বাণিজ্য ভেঙে ছোট ছোট বাণিজ্যিক গোষ্ঠীতে পরিণত হবে, যা আগে ছিল বিশ্বায়ণের এক ধরনের ঐক্যবদ্ধ রূপ। অথচ বিশ্বায়নের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী ছিল আবার আমেরিকাই। এখন বিশ্ব হাঁটবে ‘সংরক্ষণবাদ’-এর পথে।
জ্যৈষ্ঠ সংক্রান্তিতে ভাগ্যের খেলা শুরু! আজ থেকে মানিব্যাগ ভরবে ৫ রাশির, লাফিয়ে বাড়বে সাফল্যের গতি
বিয়ে বাড়ির ভোজ খেয়ে ৩৪ জন অসুস্থ, ১১ জন গুরুতর
নেতানিয়াহুর নিশানায় আয়াতুল্লাহ! চরম হুঁশিয়ারিতে ইরানকে ছাড়খাড়ের ইঙ্গিত, কী বললেন?
বেঙ্গালুরু পদপিষ্টের ঘটনায় কড়া অবস্থান, উদযাপনে রাশ টনতে চলেছে বোর্ড, তৈরি হল তিন সদস্যের কমিটি
পরিবারে আতঙ্কের রেশ! লাঞ্চ এড়িয়ে বেঁচে গেলেন মেডিকেল ছাত্রী
এই প্রকল্পের সুদের হার কমিয়েছে এসবিআই, কবে থেকে কার্যকর হবে? জেনে নিন
দাউদাউ করে জ্বলছে ৬৭ তলা ভবন, ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড দুবাইয়ে
অন্তর্বাস পরিহিত বসের গোপন কুপ্রস্তাব! সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ঝড়
পোস্ট-অফিসের এই প্রকল্পে বিনিযোগকারীদের জন্য সুখবর, টাকা তোলা যাবে এখন ইসিএস-এর মাধ্যমেও
আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় শোকস্তব্ধ সাধারণ মানুষ, মৃতদের আত্মার শান্তি কামনায় গঙ্গায় প্রদীপ ভাসানো হল উত্তরপাড়ায়
২০১৮-য় মার্করামকে নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন কোহলি, সাত বছর পরে তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল লর্ডসে
মারধর-গোপানাঙ্গে গরম লোহার ছ্যাঁকা! মহিলাকে অকথ্য অত্যাচার করে খুনের অভিযোগ স্বামী-শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে
টলিউডে ফের ত্রিকোণ প্রেমের আগুন? আদি আনন্দীর মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি অর্কজা আচার্য?
'মশলাদার খাবার একদম নয়', গরমে সুস্থ থাকার টিপস দিলেন সাংসদ রচনা ব্যানার্জি
সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের হত্যায় জড়িয়ে 'মোরাল পুলিশিং'! পরপর সত্য উদঘাটন
হীরে-সোনা-রূপো-প্যাটিনাম-রুবি দিয়ে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে দামি শাড়ি! দেড় বছর সময় ধরে তৈরি হয়েছিল ভারতেই, এর দাম জানেন?
অবশেষে ইতিহাসের পাতায় দক্ষিণ আফ্রিকা, চ্যাম্পিয়ন হয়ে সমালোচকদের সবক শেখালেন বাভুমা, কী বললেন তিনি?
বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন? জেনে নিন পোস্ট অফিসের এই স্মার্ট বিনিয়োগ প্রকল্পে সুদের হার
পুলিশ অভিধানের পার্সি-উর্দু শব্দ বদলে গেল হিন্দিতে! আইনকে নাগরিক-বান্ধব করতে সিদ্ধান্ত ছত্তিশগড় সরকারের
'সোনমের মতোই...', খুনের চক্রান্ত করছে মেয়ে, জামাইয়ের মৃত্যুর আশঙ্কায় থানায় গেলেন মা
একটি ম্যাচও না খেলে জোড়া খেতাব জিতেছেন চেন্নাই ও মুম্বইয়ের জার্সিতে, অথচ তাঁর পিছনে খরচ করা হয়েছিল ভুরি ভুরি টাকা, কে এই তারকা ক্রিকেটার?
ট্রেন, বাস বা প্লেনের কোন সিটে বসা সবচেয়ে নিরাপদ? এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার পর একটাই প্রশ্ন সবার মনে
ওরা কী বলে আপনি কী বোঝেন?আরও কিছু নতুন শব্দ, এক নতুন মোড়কে
কেমন হল 'আজও অর্ধাঙ্গিনী'র মহরত? কী বললেন তারকারা?